ডিসপ্লে কেইস

এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | | NCTB BOOK

২.২.৪ ডিসপ্লে কেইস (Display Case)

এতে একটি মাত্র সিস্টেম থাকে কিন্তু অনেক গুলো কুলিং চেম্বার থাকে যেমন ডেইরি পন্য, আইস ক্রিম, সবজি কেবিন ইত্যাদি। এখানে ভিন্ন ভিন্ন চেম্বারে ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রা রাখা হয়। কোন কোন চেম্বারে আবার আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যদিও দ্রব্যাদি বিক্রয় করার জন্য FIFO (First in First out ) নীতি অনুসরন করা হয়। ডিসপ্লে কেসে দীর্ঘ সময় যাবত দ্রব্যাদির গুনগত মান অক্ষুণ্য থাকে। বিধায় ভেন্ডর (Vendor) বা বিক্রেতা যেমন লাভবান হয় ক্রেতারাও টাটকা জিনিস পেয়ে খুশি হয়।

মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট এর সাহায্যে ডিসপ্লে কেইস পরীক্ষা

পন্যের গুনগত মান ঠিক রাখার জন্য কমার্শিয়াল ডিসপ্লে কেইস এ বিভিন্ন ভাগ মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন কেসে থাকে। এই ক্ষেত্রে লিকুইড লাইন থেকে একাধিক কেস এর জন্য একাধিক কুলিং করেন বা ইভাপোরেটর থাকে। নিচে কয়েকটি কেসের নাম দেয়া হল ।

১। মুদিখানা গ্রোসারি (Grocery) মিডিয়াম তাপমাত্রার রাখা হয় । গরমও না, ঠান্ডা না তবে আর্দ্রতা কম রাখা হয়।

চিত্রে উল্লেখিত, কেসের অভ্যন্তর রেফ্রিজারেশন ফ্লো লাল রং লিকুইড লাইন এবং নীল রং ভ্যাপার লাইন । কেসের তাপমাত্রা অনুসারে লিকুইড লাইনে (TXV) থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালভ সংযুক্ত থাকে। এখানে 0°F, °F ও 68°F তিনটি কেবিনেটের তাপমাত্রা সেট করা আছে।

সিস্টেমের সাকশন লাইনে কম্পাউন্ড প্রেশার গেজ (হাই ও লো উভয় প্রেসার পরিমাপ করা যায়) সংযুক্ত কর।

এই ক্ষেত্রে পন্যের নাম অনুসারে ডিসপ্লে কেইস এর কেবিনের তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা তা থার্মোমিটারে দেখি, ঠিক না থাকলে পরীক্ষা করে ত্রুটি নির্বাচন করি।
থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালভ দেখি । প্রয়োজনে সিস্টেম লক করে থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালভ খুলে সার্ভিসিং করি । প্রথমে লিকুইড লাইনের ভালভ বন্ধ করি কিছুক্ষন পর দেখব কম্পাউন্ড গেজের কাঁটা ৩০o in Hg হয়, তখন সাকসন লাইনের ভালব বন্ধ করি, এইভাবে সিষ্টেম লক করা হয়। সিস্টেম লক করে থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালভ খুলে সার্ভিসিং করি।
ছাদের উপর কম্প্রেসর ও কন্ডেনসার রুম থাকে, একে মেশিন রুম বলে। মেশিন রুমে কম্প্রেসর, যাই, লো এবং ওয়েন প্রেশার কাট আউট থাকে । গ্যাসের চাপ দেখার জন্য হাই, লো প্রেসার গেজ সংযুক্ত থাকে। সাধারনত সাকসন প্রেসার ও ওয়েল প্রেসার একই থাকে।
কম্প্রেসর রুমে রেফ্রিজারেন্টের চাপ পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে ডাবল গেল মেনিফোড সংযুক্ত করা হয়। কম্পাউন্ড গেজ সাকশন লাইনে এবং হাই প্রেসার গেজ লিকুইড লাইনে সংযুক্ত করে সাকশন ও ডিসচার্য প্রেসার দেয়া হয়।
ইভাপোরেটর ফ্যান ঠিক আছে কিনা অ্যাতো মিটার দিয়ে দেখি। ইভাপোরেটর ফ্যান ডিসপ্লে কেইস এর মধ্যে থাকে।
অ্যাভো মিটার দিয়ে সিস্টেমের কম্প্রেসর মোটর পরীক্ষা করি। সহজ ভাবে সুইচিং করার জন্য ম্যাগনেটিক কন্ডাক্টরের সাথে কম্প্রেসার মোটরের টার্মিনাল সংযোগ করা হয়। অ্যাভো মিটার দিয়ে কন্ডাক্টরে সংযোগ পরীক্ষা করি।
আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে হিউমিডিটেট (Humidistat) কাট আউট ব্যবহৃত হয়। আমরা জানি বাতাসে তাপমাত্রা কম থাকলে আর্দ্রতা কম থাকে। আর্দ্রতা বৃদ্ধি করার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। আর্দ্রতা বাড়ানোর জন্য হিউমিডিফায়ার (Humidifier) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি ইলেকট্রনিক্স এ্যাপায়েল ।
কেসের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মনিটর দেখি। ঠিক থাকলে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং ডিফ্রষ্ট টেম্পারেচার (Defrost Temp ) সেট করি। বিভিন্ন কেলের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা ভিন্ন থাকে।

 

 

Content added By
Promotion